সবসময় ডেস্ক :: হাতে উর্ধ্বে তুলে ধরা বর্ণমালা,কণ্ঠে ভাষা ও দেশের গান,সামনে বীর ভাষা শহিদের প্রতিকৃতি, মধ্যখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি আর সর্বপ্রথমে রয়েছে বিশাল আকৃতির জাতীয় পতাকা।এভাবেই ১ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার সকাল এগারোটায় ঐতিহ্যবাহী সারদা স্মৃতি ভবন সম্মুখ থেকে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেট এর আয়োজনে শুরু হয় মহান ভাষার মাস বরণে বর্ণমালার মিছিল।
নগরীর প্রধান সড়ক পদক্ষিন করে বর্ণমালার মিছিল গিয়ে শেষ হয় সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।বর্ণমালার মিছিলকে নৃত্যগীতে বরণ করে নেয় ছন্দ নৃত্যালয়ের শিল্পীবৃন্দ।
বর্ণমালার মিছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। মিছিল শুরুর পূর্বে বর্ণমালার মিছিলের উদ্বোধন ঘোষণা করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।
সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ এর পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( সার্বিক) মোবারক হোসেন,সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবতোষ রায় বর্মন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আল আজাদ,সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি শামসুল আলম সেলিম, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সহসভাপতি মোকাদ্দেস বাবুল, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের প্রধান পরিচালক অরিন্দম দত্ত চন্দন, পরিচালক অনুপ কুমার দেব, পরিচালক অর্ধেন্দু কুমার দাশ, তথ্যচিত্র নির্মাতা ও নাট্যজন নিরঞ্জন দে যাদু, নাট্যজন শামসুল বাসিত শেরো, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী সিলেট এর সভাপতি এনায়েত হোসেন মানিক, নাট্যজন খোয়াজ রহিম সবুজ, সংস্কৃতিজন সন্তু চৌধুরী, বিপ্লব শ্যাম পুরকায়স্থ সুমন,লেখক অপুর্ব শর্মা, নাট্যজন হুমায়ুন কবির জুয়েল, আবৃত্তি শিল্পী নাজমা পারভীন, ইনোভেটর নির্বাহী সঞ্চালক প্রণব কুমার দেব,পুঁথি শিল্পী খোকন ফকির,নাট্য সংগঠক এখলাছ আহমেদ তন্ময়,ধ্রুব জ্যোতি দে, তন্ময় নাথ তনু, রেজাউল করিম রাব্বি, আশরাফুল ইসলাম অনি প্রমুখ।বর্ণমালার মিছিলে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন,আমি খুবই অনুপ্রাণিত ও আনন্দিত, সিলেট অত্যন্ত সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধ অঞ্চল, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেট, সিলেটের সাংস্কৃতিক আন্দোলনে অতি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে, তিনি বলেন,সংস্কৃতির শক্তি দিয়ে সকল অপসংস্কৃতি কে দূর করতে হবে।মেয়র বলেন,ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।তিনি সকল ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
উদ্বোধকের বক্তব্যে জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, আমরা গর্বিত জাতি,আমাদের নিজেদের ভাষা জন্য লড়াই করে মাতৃভাষার দাবি আদায় করেছি। লক্ষ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি। তিনি বলেন,সংস্কৃতির প্রসারে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছেন।
বিজ্ঞপ্তি/অ.নে-০১
Leave a Reply